নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক ও দুর্নীতিগ্রস্থ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বানে নির্বাচন কমিশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। জোট সমন্বয়ক ও সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে বক্তব্য সিপিবি’র সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, বাসদ (মার্কসবাদী)’র আ ক ম জহিরুল ইসলাম, ইউসিএলবি’র নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি’র কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা এবং সেই ভোটকে বৈধতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সকল ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা হারিয়েছে। ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর গণশুনানিতে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু পদত্যাগ না করে তারা ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশে পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে চলেছে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ নির্বাচন কমিশন শুধু মাত্র তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি। তারা নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে যা ইতোমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা বক্তৃতা না দিয়ে বক্তা হিসেবে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি। একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই কমিশন নৈতিকভাবে স্খলিত। এরা ইতোমধ্যে অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এরা ক্ষমতাসীনদের হয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন আয়োজন করেছে। এই নির্বাচন কমিশনের আর কোন নির্বাচন পরিচালনার বৈধ নৈতিক কর্তৃত্ব অবশিষ্ট নাই।

নেতৃবৃন্দ ভোট ডাকাতির আয়োজক ও আর্থিক দুর্নীতিগ্রস্থ এই নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। নেতৃবৃন্দ দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করে তাহলে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে অবিলম্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করুন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি জেলায় একই দাবিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *