বাম জোটের ৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণা

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে পুনঃক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বানে দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালিত হয়। দুই বছর পূর্বে এই দিনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ ঢাকাসহ সারাদেশে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ-কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল এবং প্রহসনের সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবৈধ ও জনসমর্থনহীন সংসদ গঠিত হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান সরকার। অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের ফ্যাসিস্ট শাসনে আজ জর্জরিত গোটা দেশের জনগণ।

বাম গণতান্ত্রিক জোট কালো দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে পুরানা পল্টন মোড়ে মিছিলপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, বাসদ মার্কসবাদী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ ক ম জহিরুল হক, ইউসিএলবি’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি’র কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুম মুনীর, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দুই বছর পূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সেই নির্বাচনকে ভুয়া নির্বাচন এবং ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারকে ভুয়া সরকার বলে অভিহিত করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ এবং একইসাথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান। ঘোষিত দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহে পুলিশ কর্তৃক বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বাধা প্রদান ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতা অজিত, আরিফ, সঞ্জয়ের গ্রেফতারের নিন্দা জানান।

সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল কয়েক দফা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। মৎস্য ভবনের সামেন পুলিশি বাধা অতিক্রম করে বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগে গেলে দ্বিতীয় দফায় বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের আক্রমণে কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, ছাত্র নেতা বিল্লাল হোসেন ও রিপন আহত হন।

কর্মসূচি

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ৬ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন।

৩০ ডিসেম্বর ২০২০‘কালো দিবসে’ দেশবাসীর প্রতি বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দের আহ্বান

আওয়ামী দুঃশাসন অবসানে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলুন

৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণা

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে পুনঃক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বানে দেশব্যাপী ‘কালো দিবস’ পালিত হয়। দুই বছর পূর্বে এই দিনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে যে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ ঢাকাসহ সারাদেশে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ-কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল এবং প্রহসনের সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবৈধ ও জনসমর্থনহীন সংসদ গঠিত হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বর্তমান সরকার। অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের ফ্যাসিস্ট শাসনে আজ জর্জরিত গোটা দেশের জনগণ।

বাম গণতান্ত্রিক জোট কালো দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে পুরানা পল্টন মোড়ে মিছিলপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, বাসদ মার্কসবাদী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ ক ম জহিরুল হক, ইউসিএলবি’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি’র কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুম মুনীর, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দুই বছর পূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সেই নির্বাচনকে ভুয়া নির্বাচন এবং ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারকে ভুয়া সরকার বলে অভিহিত করেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল, ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ এবং একইসাথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান। ঘোষিত দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহে পুলিশ কর্তৃক বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বাধা প্রদান ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতা অজিত, আরিফ, সঞ্জয়ের গ্রেফতারের নিন্দা জানান।

সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল কয়েক দফা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। মৎস্য ভবনের সামেন পুলিশি বাধা অতিক্রম করে বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগে গেলে দ্বিতীয় দফায় বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের আক্রমণে কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, ছাত্র নেতা বিল্লাল হোসেন ও রিপন আহত হন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *